আরণ্যকের কথা
শিল্পের উদ্ভব এবং মানুষের সংগ্রাম দুই- ই সমান্তরাল। ওদের বয়স ও গন্তব্য দুই-ই অভিন্ন। আয়োজন এক অপরকে ঘিরে। নাট্যদল হিসেবে শিল্পের প্রতি আমরা যতটা অনুগত, তার চেয়ে একমাত্রা বেশী অনুগত মানুষের প্রতি। সে মানুষ স্বদেশের, সমগ্র বিশ্বের, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। সৃজনশীলতায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই কেবল মানুষ বেঁচে থাকার, স্বপ্ন দেখার এবং সর্বোপরি মানবিকতার বোধে চলতে পারে।
আমাদের কাছে মানুষ কোনো সরলরৈখিক প্রজাতি নয়। এর ভেদাভেদ ও বিভাজন দৃশ্যমান। সেই স্পষ্টতা থেকেই মানুষের এর বিশেষ অংশের প্রতি আমাদের পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। আর সে অংশ হলো শ্রমনির্ভর মানুষ। আরণ্যকের এটাই অহংকার।
আরণ্যকের সাংগঠনিক কাঠামো
আরণ্যক নাট্যদল একটি নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ১৯– সালে আরণ্যক নাট্যদলের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। গঠনতন্ত্রের অধ্যায়-‘‘ঘ’’ অনুযায়ি আরণ্যক নাট্যদলের সাংগঠনিক কাঠামো দুই ভাগে বিভক্ত। (ক) সাধারণ পরিষদ এবং (খ) সম্পাদকমন্ডলী। দলের নিয়মিত সদস্যরা সাধারণ পরিষদের সদস্য হবেন। সংগঠনের নির্বাহী কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য দলের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দুই বছরের জন্য সম্পাদকমন্ডলী নির্বাচিত হবেন। সম্পাদকমন্ডলীর সংখ্যা হবে ০৫ (পাঁচ) জন। তন্মধ্যে একজন প্রধান সম্পাদক ও বাকী চারজন সম্পাদক।